মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন, বিধি ও নীতিমালা এবং আইনানুগ পদ্ধতি লংঘন করে শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে রাজউকে কোনো আবেদন না করেই মায়ের কাছে আবদারপূর্বক আবেদন পেশ করেন পুতুল। এরপর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। বরাদ্দকৃত প্লট নিজ নামে রেজিস্ট্রিভুক্ত করে নেন এবং সরকারি জমি আত্মসাৎ করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশেষ ক্ষমতাবলে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব ও সহযোগিতায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অনুকূলে প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে আইন লংঘন করেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চার্জশিটে এসব কথা উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
রাজধানীর পূর্বাচলে দশ কাঠার প্লট জালিয়াতির ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্ত প্রাপ্তে আরো দুই আসামিসহ শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছে ১৬ জনকে।
মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৮ আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি, হুলিয়া ও ক্রোক পরোয়ানা জারি করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিল এ মামলাটির ধার্য তারিখ রয়েছে। ঢাকা মহানগর আদালতে এ চার্জশিট গ্রহণ সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
কার কি দায়-মামলার চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন-
আসামি সায়মা ওয়াজেদ পুতুল: শেখ হাসিনার মেয়ে এবং অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজওর্ডার বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারপার্সন। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মালিকানায় ঢাকা শহরে রাজউকের এখতিয়ারাধীন এলাকায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও তা হলফনামায় গোপন করে। পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত আইন, বিধি ও নীতিমালা ও আইনানুগ পদ্ধতি লংঘনপূর্বক মাকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে রাজউকে কোনো আবেদন না করেই আবদার করে আবেদন পেশ করেন পুতুল। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন; তা নিজ নামে রেজিস্ট্রিভুক্ত করে নেন এবং সরকারি জমি আত্মসাৎ করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশেষ ক্ষমতাবলে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব ও সহযোগিতায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অনুকূলে প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে আইন লংঘন করেন।
শেখ হাসিনা : শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশেষ ক্ষমতাবলে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব ও সহযোগিতায় আসামি সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অনুকূলে প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে দ্য ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (এলটমেন্ট অব ল্যান্ড) আইন লংঘন করা হয়েছে এবং অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধ অনুগ্রহ ও অবৈধ পারিতোধিক হিসাবে বর্ণিত প্লটটি বরাদ্দ প্রদান অপরাধজনক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করার মাধ্যমে নিজ ও নিজের পরিবারকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছেন।
এছাড়া আসামি মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পারিক যোগসাজশে নিজে এবং অপরকে শাস্তির উদ্দ্যেশে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের নথিটি বিনষ্ট করেছেন অথবা গায়েব করেছেন মর্মে ঘটনা পর্যালোচনায় উদঘাটিত হয়।
মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন: আসামি প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ অসৎ উদ্দেশ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বরাবর পত্রের মাধ্যমে জানান যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিশিষ্ট ব্যক্তি আসামি সায়মা ওয়াজেদের অনুকূলে প্লট বরাদ্দের দাখিলকৃত আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের রক্ষিত কোটার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকায় ১০ কাঠা আয়তনের একটি প্লট বরাদ্দের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিভিন্ন কোটায় প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত নথিতে প্রস্তাবকারী ও প্রধানমন্ত্রী ওই প্রস্তাব মোতাবেক স্বাক্ষর করতেন। তিনি নিজে পরস্পর যোগসাজশমূলক স্বাক্ষর প্রদান করে প্রস্তাব দেন। তিনি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী আসামি শেখ হাসিনা পারস্পারিক যোগসাজশে নিজে এবং অপরকে শান্তি হতে বাঁচাবার উদ্দেশ্যে নথিটি বিনষ্ট করেছেন অথবা গায়েব করেছেন মর্মে তদন্তে উদঘাটিত হয়।
মো. সাইফুল ইসলাম সরকার: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনকালে অবৈধ পারিতোষিক গ্রহণ ও প্রদান ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ এবং বেআইনি অনুগ্রহ প্রদর্শনের দ্বারা অবৈধ বরাদ্দের প্রস্তাবসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নোটাংশে স্বাক্ষর করেন এবং অপরাধে সহায়তা করেন।
পুরবী গোলদার: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনকালে আইন কানুন বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ ও পরস্পর যোগসাজশে অপরকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধ বরাদ্দের প্রস্তাবসহ গৃহায়ন এবং গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নোটাংশে স্বাক্ষর করেন ও অপরাধে সহায়তা করেন।
কাজী ওয়াছি উদ্দিন: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) এনডিসি কাজী ওয়াছি উদ্দিন দাপ্তরিক দায়িত্ব পালনকালে দায়িত্ব লংঘন করে আইন কানুন বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে অসৎ উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও পরস্পর যোগসাজশে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নোটাংশে স্বাক্ষর করেন এবং অপরাধে সহায়তা করেন।
মো. শহীদ উল্লা খন্দকার: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার অসৎ উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অবৈধ আনুকূল্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ ও পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইনসম্মত পারিশ্রমিক না হওয়া সত্ত্বেও আইনমতে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ বরাদ্দ অনুমোদন করেন ও নিজেরা লাভবান হয়ে ও অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে আসা সায়মা ওয়াজেদের নামে বরাদ্দ দিয়ে এবং সায়মা ওয়াজেদকে প্লটের বাস্তব দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে হস্তান্তর করেন।
শরীফ আহমেদ: সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ অসৎ অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ ও পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ আনুকুল্য গ্রহণের উদ্দেশ্যে আইনসম্মত পারিশ্রমিক না হওয়া সত্ত্বেও আইনমতে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে ও অন্যকে লাভবান করার অসৎ উদ্দেশ্যে আসামি সায়মা ওয়াজেদের নামে বরাদ্দ দিয়ে এবং সায়মা ওয়াজেদকে প্লটের বাস্তব দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে হস্তান্তর করেন।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের এস্টেট ও ভূমির সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, রাজউকের সাবেক সদস্য তন্ময় দাস, রাজউকের পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন ও রাজউকের সাবেক সদস্য মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.) রাজউকের ১০/২০২২তম সভায় শেখ হাসিনার কন্যা আসামি সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের অনুকূলে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এলটমেন্ট অব ল্যান্ড) বিশেষত বিধি লংঘন পূর্বক বিধি মোতাবেক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা আয়তনের ১টি প্লট বরাদ্দের বিষয়ে সভায় উপস্থিত সকলে পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে অনুমোদন করেন। অসৎউদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ ও পরস্পর যোগসাজশে উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইনসম্মত পারিশ্রমিক না হওয়া সত্ত্বেও, আইনমতে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ আনুকুল্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজেরা লাভবান হয়ে ও অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে বর্ণিত পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার প্লটে আসামি সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে বরাদ্দ দিয়ে এবংআসামি সায়মা ওয়াজেদকে প্লটের বাস্তব দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে প্লট হস্তান্তর করে করেন।
প্রকল্পের বরাদ্দ বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গণকর্মচারী আসামি (৩) পুরবী গোলদার, আসামি (৪) পুরবী গোলদার, আসামি (৫) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, আসামি (৬) মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, আসামি (৭) মো. আনিছুর রহমান মিঞা, আসামি (৮) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, আসামি (৯) কবির আল আসাদ, আসামি (১০) তনুয় দাস, আসামি (১১) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, আসামি (১২) মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), আসামি (১৩) মো. হাফিজুর রহমান, আসামি (১৪) মো. হাবিবুর রহমান (সবুজ), আসামি (১৫) শেখ শাহিনুল ইসলাম, আসামি (১৬) মো. নুরুল ইসলাম, তদন্তে প্রাপ্তে আসামি (১৭) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও আসামি (১৮) শরীফ আহমেদকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইনমতে বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে ও অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে আইনবহির্ভূত প্লট বরাদ্দ দেয়।
অবৈধ আনুকুল্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে বর্ণিত পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের অতি মূল্যবান কূটনৈতিক এলাকায় আসামি সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে প্লটের বাস্তব দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে হস্তান্তর করে ও প্লট গ্রহণ করে, প্রতারণামূলক অবৈধ পারিতোষিক গ্রহণ ও প্রদান ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ এবং বেআইনি অনুগ্রহ প্রদর্শনের দ্বারা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় দণ্ডযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
শেখ হাসিনা-পুতুল ছাড়াও চার্জশিটভুক্ত অপর ১৬ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দের অনিয়মের অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলা জানুয়ারি মাসে দায়ের করে দুদক। তদন্ত শেষ করে দুদক ১০ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এর মধ্যে ১০ এপ্রিল একটি, ১৩ এপ্রিল দুটি এবং ১৫ এপ্রিল তিনটি মামলার চার্জশিট আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বাসসরে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়, দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দের অনিয়মের অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলায় শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনার পরিবারের সদস্য ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক।
এসব মামলায় শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। আইননুযায়ী পলাতক থাকা আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবেন আদালত। এরপরও আসামিরা পলাতক থাকলে গ্রেজেট প্রকাশ করে বিচার শুরু করবেন আদালত।