এবারের
আয়োজনে ২৮ জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের
মধ্য শোভাযাত্রাটি সকলের হয়ে উঠবে বলে
মনে করছেন আয়োজন সংশ্লিষ্টরা। শুক্রবার সকাল ১১টায় ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে
চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম
বলেন, সকলকে সঙ্গে নিয়ে এবারের শোভাযাত্রা
আনন্দময় হবে। এবারের নববর্ষের
প্রতিপাদ্য হলো, নববর্ষের ঐকতান,
ফ্যাসিবাদের অবসান। এবারের নববর্ষের আয়োজন সকল অন্যায্যতাকে বিনাশ
করে ন্যায্য ও সত্যকে নব
আলোর গতিধারায় একত্র করতে হবে গোটা
সমাজকে। এবারের বৈশাখ হবে সকলের। আমাদের
ভূখণ্ডে বসবাসরত সকল জাতিগোষ্ঠী এবারের
বৈশাখ বরণের অংশীদারিত্ব অর্জন করেছে। পাহাড় থেকে সমতল- সবাই
একসাথে বর্ষবরণ উদ্যাপন করবে।
এবারের আয়োজনের মধ্য দিয়ে একপেশে
সংস্কৃতি চর্চার সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে আমরা
বাংলাদেশের সংস্কৃতির উদার ও শুদ্ধ
চর্চার দিকে যেতে পারব
বলে আশা করছি।
তিনি বলেন,
অন্তর্ভক্তিমূলক ব্যাপক এই আয়োজনের লক্ষ্যে শোভাযাত্রার নামকরণ করা হয়েছে ‘বর্ষবরণ
আনন্দ শোভাযাত্রা’। যার ছায়াতলে দেশের সকল বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক
ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটবে। প্রতিফলিত হবে বর্তমানের সব শ্রেণির আশা-আকঙ্খা এবং ফুটে উঠবে
শোভাযাত্রার প্রকৃত আনন্দ। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’কে
সফল ও সার্থক করে তুলতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন,
শিক্ষকবৃন্দ, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকলে আবেগ, ভালোবাসা
ও দায়িত্বের সাথে কাজ করে চলেছে।
অধিকার বার্তা
মনে করে, যেহেতু পূর্বের বৈশাখ মঙ্গল শোভাযাত্রা সকল ধর্মের রীতি-নীতিকে সমর্থন করে
না তাই দেশের সকল ধর্মের মানুষের এই আনন্দ উৎযাপনের অধিকারকে ক্ষুন্ন করে। এখানে খেয়াল
রাখা দরকার সকল এমন ভাবে যেন উৎযাপন উপাদান রাখা হয় কোন ধর্মকে অবমাননা করা না হয় এবং
সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহনকে অনুপ্রাণীত করা যায়।