গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান এই প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোষ্ট দিয়েছেন। পোষ্টে তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশিত "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন চায়" শীর্ষক সংবাদ প্রচারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন মূলত বাংলাদেশের সাংবিধানিক নামের সংস্কারের সুপারিশ করেছে, যা অমূলক বা অযৌক্তিক নয়।
ফারুক হাসান "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ"-এর ব্যাখ্যায় প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, সংবিধানে "গণপ্রজাতন্ত্রী" শব্দবন্ধের মাধ্যমে রাজা ও প্রজার যে ধারণা দেওয়া হয়েছে, আধুনিক বাংলাদেশে তার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি সংবিধানের কাছে জানতে চান, বর্তমানে বাংলাদেশে কে রাজা এবং কে প্রজা? তার মতে, সরকারে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিরা রাজা এবং সাধারণ জনগণ প্রজা – এমন ধারণা পোষণ করা অনুচিত, কারণ রাজা-প্রজার শাসন ব্যবস্থা বহু আগেই শেষ হয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের এই মুখপাত্র মনে করেন, ২০২৫ সালের নতুন বাংলাদেশে অনেক কিছুর সংস্কার প্রয়োজন, যার মধ্যে সাংবিধানিক নামের পরিবর্তনও অন্তর্ভুক্ত। তিনি বিশ্বাস করেন, এই ধরনের সংস্কারের মাধ্যমেই বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়ার মতো উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। অন্যথায়, তেমন উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের প্রস্তাবনার স্বপক্ষে বিস্তারিত যুক্তি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে, ফারুক হাসানের বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, "গণপ্রজাতন্ত্রী" শব্দবন্ধের অন্তর্নিহিত রাজা ও প্রজার ধারণাকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে করছেন দলটির সমর্থকরা।
- বিষয়টি এখন জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিক্রিয়া এই প্রস্তাবনার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তবে, দেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনের মতো একটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই জনমনে আলোচনা ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। দেখার বিষয়, ২০২৫ সালের সংস্কার প্রক্রিয়ায় এই প্রস্তাবনা কতটা গুরুত্ব পায়।